admin
July 11, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট: বহু বছর আগে এক বিশাল রাজ্যে নিয়ে বাস করতো এক রাজা তার ছিল সাতটি রানী। এত গুলো রানী থাকতেও রাজা ছিল অখুশি কারণ কোন রানীরই সন্তান ছিল না। এক দিন রাজা বনের মধ্যে বসে ধ্যান করছিলেন হঠাৎ এক দরবেশ এসে রাজাকে বলে ওহে বর্শ শোন এই নাও ফুল, এই ফুলটি আজ রাতে তোমার ছোট রানী কে খাওয়াবে তা হলে তার গর্বে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেবে যার বিয়ের বয়স হলে বিয়ে দিতে হবে তার রুপে রুপ মেয়ের সাথে। এই বলে দরবেশ কোথাই যেন চলে গেল। রাজা ফুলটি নিয়ে তার রাজ দরবারে ফিরে গেল। তার পর তার ছোট রানী কে ডেকে তার হাতে ফুলটি দিয়ে দিল। রানী রাজার কথা মতো ফুল টি খেয়ে নিল তার পর রানীর গর্ভে এল বাচ্চা। বাকি রানী তো এ খবর শুনে হতবাগ। পুরো রাজ্য এ খবর ছড়িয়ে পড়ল রাজা তো অনেক খুশি এবার তার সুখের দিন শুরু। রাজার হুকুমে সব রানী ছোট রানীর যত্ন নিতে থাকে। কিছু দিন পর রানীর কোল আলো করে আসে পুত্র সন্তান। ঢাক ঢোল পিটিয়ে সাত গ্রামে এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের আকাশে বাতাশে যেন খুশির হাওয়া বইতে থাকে। রাজ কুমার তো আদর আহলাদে বড় হতে থাকে। এই দিকে দরবেশ এর কথা মতো রাজার তো চিন্তা বাড়তে থাকে কোথাই পাবে তার কুমার এর রুপে রুপ মেয়ে। এই ভাবে দেখতে দেখতে কুমার ও বিয়ের বয়সে পা দেয়। রাজা সকল প্রজাদের তার কুমার কে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে বলে। সকল প্রজারা তো মেয়ে দেখতে দেখতে হয়রান হয়ে যায় কোথাও মেলে না কুমার এর রুপের সাথে রুপ। এভাবে চলতে থাকে দিন। হঠাৎ এক রাতে কুমার স্বপ্নে দেখে তার রুপের রুপ একটি মেয়ে তার সাথে, তার আলিঙ্গন হয় নামটি তার মধুমালা এটা দেখে তো কুমার পাগল হয়ে যায়। মধু মালার হাতের আংটি বদল করে কুমারের সাথে। পাগল হইলো কুমার যে, ঘুম থেকে সকালে ওঠে বলে মায়ের কাছে ,রাতের সব ঘটনা, মা শুনে বলে তারে ভুলে যাও সব রাতের সকল ঘটনা, স্বপ্ন সত্য হয় না ,কুমার বলে স্বপ্ন নয় মা সবি সত্য ঘটনা। “ স্বপ্ন যদি মিথ্যা হইতো মা গো আংটি কেনো বদল হইলো গো মা আমি স্বপ্নে দেখলাম মধু মালার মুখ ও রে—“ এই বলে কুমার কাঁদতে থাকে ,কুমার এর মা বলে কোথাই থাকে সেই মধুমালা? কুমার বলে সাত সমুদ্র সাত নদী পার হয়ে যেতে হবে। তখন কুমার এর মা বলে না না বাবা তুমি আমার একমাত্র সন্তান আমি তোমাকে কিছুতেই যেতে দিব না। এই দিকে কুমার তো পাগল মধুমালার জন্য। নাওয়া খাওয়া সব ভুলে ঘরে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন আর কি কিছু করার থাকে বাধ্য হয়ে রাজা তার কুমার কে প্রজার সাথে পাঠিয়ে দেয়। সাথে দেয় একটি ঘোড়া আর কিছু খাবার। কুমার একে একে সবার থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দিল। যেতে যেতে সন্ধ্যা নেমে এলো কুমার কøান্ত হয়ে গাছের নিচে শুয়ে ঘুমিয়ে গেল। হঠাৎ স্বপ্নে দেখে দরবেশ বলছে মধুমালার কাছে যাইতে তিন মাস তের দিন সময় লাগবে সমুদ্রের পাড়ে থাকবে তার বাড়ি। প্রথমে থাকবে তের টা দাসি তাদের দেখে যেন ভুল না হয় মধুমালাকে চিনতে এই বলে দরবেশ চলে যায়। ঘুম ভেঙ্গে কুমার আবার রওনা দিল। আবার চলতে থাকে কুমার, খাবার শেষ হয়ে যায় ঘোড়া আর চলতে পাড়ে না তখন কুমার ঘোড়াকে রেখে হেটে হেটে রওনা দেয়। কøান্ত হয়ে আবার গাছের নিচে ঘুমিয়ে পড়ে কুমার, স্বপ্নে দেখে মধুমালা তার পাশে মাথায় হাত বুলায়ে দেয় কুমারের তখন সকল ক্লান্তি দূর হয়ে য়ায়। কুমার এবার মধুমালার বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে যেয়ে বসে। একটু পড়েই দেখতে পাই অনেক গুলো সুন্দরী মেয়ে নদীতে গোসল করতে আসে কুমার তো প্রথম জন এর রুপ দেখেই অঙ্গান হয়ে পড়ে যায়। হুস ফিড়লে দেখে কেউ নেই সবাই চলে গেছে। কি আর করার হতাশ না হয়ে কুমার নদীর পাড়ে এক বিশাল বট গাছে ওঠে বসে অপেক্ষা করতে থাকে এ ভাবে রাত কেটে যায় সকাল হয় আবার মধুমালা গোসল করতে আসে নদীতে আজ রাজ কুমার একে একে সবাই কে দেখতে থাকে হঠাৎ করেই চোখ পড়ে মধুমালার দিকে দেকেই চমকে যান কুমার এই তো সেই মেয়ে যার সাথে তার স্বপ্নে আংটি বদল হয়। তার মনের মধুমালা যার প্রেমে পাগল হয়ে দিন এরপর দিন অপেক্ষা করতে করতে আজ তার অবশান হবে। এ দিকে তো মধুবালা কুমার এর অপেক্ষার প্রহর গুনছে। এর পড় কুমার মধুবালার সাথে দেখা করে কিš‘ কোন ভাবেই মধুমালার বাবা মা কুমারকে মানতে চায় না তারা তাদের একমাত্র মেয়েকে কোন ভাবেই এত দুরে কুমার এর সাথে বিয়ে দিবে না। এই দিকে তো মধুমালা কুমার এর প্রেমে আরো পাগল হয়ে গেল কি করবে মধুমালা? কি ভাবে পাবে কুমার কে ? নাকি পেয়ে ও হারাতে হবে কুমার কে? এসব ভাবতে ভাবতে মধুমালা তো দিশেহারা এই দিকে তো কুমার কে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তবে কি হবে না? কুমার আর মধুমালার মিলন? বন্দী করে রেখে কুমার কে করা হয় নির্মম অত্যাচার। মধুমালা তো আর সইতে পারে না কুমার এর প্রতি অত্যাচার। কি করবে মধুমালা ভেবে না পাই না তাই মধুমালা বুদ্ধি করে সে কুমার এর হাত ধরে পালিয়ে যাবে। তার এই কথা সে কুমার কে জানায় কিš‘ কুমার বলে তুমি অ¯িথর হইয়ো না মধুমালা আমি তো তোমাকে নিয়েই ফিরবো। মধুমালা বলে ওরা তোমাকে মেরে ফেলবে কুমার, চলো পালিয়ে যাই কুমার চলো। এই ভাবে আর কত দিন চলবে কুমার? তার পরে যতো দিন যেতে থাকে ততো বাড়তে থাকে কুমার এর উপর অত্যাচার ত্রভাবে চলতে থাকলে কুমার তো মরে যাবে। কুমার এর কষ্ট সয্য করতে না পেরে মধুমালা চিন্তা করে কুমার তো এভাবে মরে যাবে আর এসব আমি সহ্য করতে পারবো না তাই কুমার এর আগে আমি বিষ পানে মরে যাব আমি বেঁচে থেকেও তো কুমার এর কষ্ট দূর করতে পারছি না তাই আমি মরেই যাব সারা রাত চিন্তা করতে থাকে মধুমালা ভোরের আলো ফুটতে আর একটু বাকি এমন সময় মধুমালা বিষপান করে ঘরে মরণ যন্ত্রনায় ছটফট করত লাগে, কোথাই রইলে প্রাণের গো কুমার তোমার মধুমালার যে প্রাণ যায় ভিষণ ব্যাথাই। দাসিরা টের পেঁয়ে খবর দেয় মধুমালার বাবা মা কে সবাই ছুটে আসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এ দিকে মধুমালা বলতে থাকে শেষ বাড়ের মতো আমার স্বপ্নের কুমার কে দেখতে চায়। এই শুনে কুমারকে ছেড়ে দেওয়া হয় কুমার এর মৃত্যুর মতো অব¯’া কনো রকমে আনা হয় মধুমালার কাছে ,মধুুমালাকে বুকে জড়িয়ে মৃত্যু হয় কুমার এর, একটু পড়েই মৃত্যুর মুখে টলে পড়ে মধুমালা এ ভাবেই হেরে গেল কুমার আর মধুমালার স্বপ্নের ভালবাসা।
সুত্র:এফএনএস ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট : অবিশ্বাস্য—সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিটি ম্যাচ শেষে এই শব্দটি যেন ঘুরেফিরে বারবার লিখতে হচ্ছে। ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী
ডেস্ক রিপোর্ট : ‘আজ কি রাত মজা হুসনো কি’, ‘স্ত্রী-২’ সিনেমার গানের সঙ্গে নতুন এক তামান্না ভাটিয়াকে আবিষ্কার করেছিলেন সিনেজগতের
ডেস্ক রিপোর্ট : সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বা শিক্ষার মানোন্নয়নে শাসকশ্রেণির কোনো ভূমিকা দেখছেন না অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
ডেস্ক রিপোর্ট : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪” ও “জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ “ উদ্যাপন করা হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট : বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় পাঁচ শতাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান
ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ ব্যক্তিজীবন নিয়ে সবসময় আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি প্রেমিক বেনির সঙ্গে বাগদানের খবর
ডেস্ক রিপোর্ট : ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক অর্জন সঙ্গী হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট : লেখালেখি একটি আর্ট, একটি নান্দনিক শিল্প। কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে লেখনীর গুরুত্ব অপরিসীম। লিখতে হয় কলম দিয়ে।