admin
July 9, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট: এক বনে বাস করতো এক রাক্ষস, সে ছিল অনেক লোভী তার জা¦লায় বনের কোন প্রাণী শান্তিতে থাকতে পারত না এবং কি কোন মানুষ যদি কখনো বনে যেতো তার জান নিয়ে ফেরা কঠিন ছিল ফিরতে হতো লাশ হয়ে। এমনকি আশে পাশের মানুষ ও রক্ষা পেতো না ওই রাক্ষস এর হাত থেকে। ওই বনের পাশে অন্য একটি গ্রামে বাস করতো এক রাজা, সে ছিল মহা সুখী, তার ছিল একটি মাত্র কন্যা, নাম ছিলো যার হীরামনি, যেমনি নাম তেমনি ছিলো চেহারা, রূপ যেন তার চাঁদের আলো কে ও হার মানায়। এক দিন হঠাৎ এলো জ্বর হীরা-মণির, রাজ্যের যতো হাকিম, বোদ্ধ, সকল কে ডাকা হলো সবাই যার যার মতো ওষধ বড়ি দিতে লাগলো কিন্তু কিছুতেই কোন কাজ হলো না রাজা তো হতাশ হয়ে পড়লেন একমাত্র মেয়ে অসুস্থ কি করবেন দিশেহারা, এমন সময় এক সাধক এসে বলে রাজা মশাই ক্ষমা করবেন, একটা কথা বলতে চাই, ঠিক আছে বলো সাধক কি বলতে চাও, আপনার মেয়ের যে জ্বর হইছে তা কোন হাকিম বোদ্ধ সারাতে পারবে না এই জ্বর সারাতে হলে রাক্ষসে বনে রাখতে হবে আপনার মেয়েকে, বিধাতা যদি চায় তার কৃপায় ভাল হয়ে যাবে আপনার মেয়ে এ ছাড়া তাকে ভাল করার আর কোন উপায় নেই।
চুপ করো সাধক কি বলছ এই সব, তোমার গরদান নিব আমি ওই বনে কোন মানুষ থাকতে পারে? কি ভাবে এটা সম্ভব, এক মাত্র মেয়েকে বনে রাখতে পারবো না। এই দিকে তো হীরা-মণির শরীর অনেক খারাপ হতে থাকে। সারা গ্রামের মানুষ তো হতাশ, কি, হবে রাজার এক মাত্র মেয়ের? সকল ডাক্তার, কবিরাজ, বোদ্ধ হেকিম, সবার চোখে মুখে হতাশা, কি হবে এখন? আর যেন কোন আশাই নেই, রাজা তো মেয়ের এ অবস্থা কোন ভাবেই যেন মানতে পারছেন না অবশেষে আর কোন উপায় না পেয়ে সাধক এর কথা মতো রাজ্যের সকল প্রজাদের নিয়ে গেল সেই বনে, রেখে এলো রাজার মেয়েকে, ছোট একটা কুড়ে ঘরে। অবচেতন অবস্থায় পড়ে রয় হীরামনি।
এভাবে চলতে থাকে দিন। হঠাৎ বিধাতার কৃপায় সুস্থ হয়ে যায় হীরামনি। সেই কুড়ে ঘরে জ্বলতে থাকে আলো। আর সেই আলোতে চোখ পড়ে বনে থাকা রাক্ষস। রাক্ষস আর দেরি না করে জলদি চলে আসে কুড়ো ঘরে, সেখানে বসে আছে রাজার মেয়ে হীরামনি, দেখেই তো পাগল রাক্ষস আহাঃ কি রূপ আর যৌবন, কি করবে রাক্ষস দিশেহারা, হীরামনি ছিলও তখন ঘুমে রাক্ষস এর হাসিতে তার ঘুম ভাঙ্গে, রাক্ষস কে দেখে হীরামনি ভয়ে কাঁদতে থাকে। ভয় পেয়ো না রাজকুমারী, আমি তোমাকে খাব না আমি তোমাকে বিবাহ করবো হা হা হা এই বলে হীরা মণিকে তুলে নিয়ে গেল তার প্রাসাদে। শুরু হলো হীরামনির কষ্টের দিন রাক্ষস এর সাথে করতে লাগলো সংসার এভাবে চলতে থাকে দিন এরপর দিন, কি করবে হীরামনি বুঝতে পারছে না সে একটা রাক্ষস এর সংসার কিভাবে করবে, কিন্তু কোন উপায় নেই তার এভাবে দুঃখে কষ্টে কাটতে থাকে দিন। এর মধ্যে হঠাৎ হীরা-মনির এক দিন মাথা ঘুরে সে বুজতে পারে সে মা হবে কিন্তু রাক্ষস এর সন্তান ভাবতেই পারছে না হীরামনি এর মধ্যে রাক্ষস বুঝতে পারে রাজকুমারীর সন্তান হবে সে তো মহা খুশি নিশ্চয় তার সন্তান হবে রাক্ষস তার পর যখন আর কোন খাবার থাকবে না তখন সে রাজকুমারী কে খেয়ে নিবে বাড়বে তার দল। এই দিকে তো রাজকুমারী চিন্তায় চিন্তায় শেষ পেটে বড় হতে থাকে সন্তান তার পড়ে এক দিন হীরা-মণির পেট এ ভীষণ ব্যথা কোল আলো করে আসে দুইটা পুত্র সন্তান এ দেখে রাক্ষ্স এর মন বেজায় খারাপ, সে তো মানুষ জন্ম দিতে চাইনি! রাক্ষস এর সন্তান হবে রাক্ষস, হলো তার উল্টো রাজার মেয়ে জন্ম দিল মানুষ রাক্ষস গেল ভীষণ ক্ষেপে খেয়ে ফেলতে হবে এদের কোনভাবে বাঁচতে দেওয়া যাবে না। রাক্ষস সুযোগ খোঁজতে থাকে, সন্তান দেখে রাজকুমারী খুশি হয়েও যেন হতে পারছে না রাক্ষস তো মেরে ফেলবে তাদের হীরামনি তো রাক্ষস এর সব বুঝতে পারে, কি করবে হীরামনি? কি ভাবে বাঁচাবে ছেলেদের? কি ভাবে বলবে ছেলেদের যে তার বাবা একজন রাক্ষস? কি ভাবে? নানা প্রশ্ন তার মনে, অবশেষে একদিন সেই সুযোগ আসল রাক্ষস অনেক দুরে ঘুরতে গেল, সেই সুযোগ এ হীরামনি তার ছেলেদের সব বলতে থাকে, তাদের বাবা কোন মানুষ নয় সে হলো মানুষ খেকো রাক্ষস এ কথা শুনে তো ছেলেরা ভয় পেয়ে যায় কি বলছে মা? কি ভাবে বাঁচবো আমরা? মা কে রেখে কি ভাবে বাইরে যাব? মেরে ফেলতে হবে এই রাক্ষসকে, মা ছেলে মিলে রাক্ষস কে মারার সুযোগ খোঁজতে থাকে এই দিকে রাক্ষস চিন্তা করে কিভাবে খাব এদের বনের অন্য অন্য রাক্ষস দের সাথে পরামর্শ করতে থাকে। তারা বলে আগে মারতে হবে রাজ কুমারীকে ছেলেদের দুরে কাজে পাঠাতে হবে। এ কথা শুনে রাক্ষস বলে ঠিক আছে তা হলে তাই করতে হবে। এক দিন রাক্ষস ছেলেদের বলে তোমরা পাশের গ্রামে কাজে যাবে দুই দিন এর জন্য। ছেলেরা বলে ঠিক আছে। ছেলেরা পড়ে গেল ভীষণ চিন্তায়,কি করবে এখন? ছেলেরা বলে মা আমরা না থাকলে তোমার কোন বিপদ হলে বুজবো কি করে? হীরামনি বলে আমি তোমাদের একটি গ্লাসে দুধ দিব তোমরা যখন বাইরে যাবে তখন এটা নিয়ে যাবে আর যে দিন দেখবে এই গ্লাস এর দুধ রক্তবর্ণ ধারণ করছে সেই দিন বুজবে আজ বিপদ হবে এবং রাক্ষস আমাকে খেয়ে ফেলবে তখনি তোমরা চলে আসবে। ঠিক আছে মা, ছেলেরা কাজ করে আর সেই গ্লাস এর দুধ দেখতে থাকে। এ ভাবে চলতে থাকে দিন হঠাৎ এক দিন সেই গ্লাস এর দুধ লাল রক্তবর্ণ ধারণ করে তখনি ছেলেরা বাড়ি আসে এসে দেখতে পায় তাদের মাকে রাক্ষস খাবার চেষ্টা করছে ওমনি তারা রাক্ষস এর ওপর ঝাঁপিয়ে পরে এবং রাক্ষস কে অনেক কষ্টে মেরে ফেলে। তার পর হীরামনি তার ছেলেদের নিয়ে ফিরে গেল রাজ প্রসাদে। রাজা তো হীরামনি কে দেখে অবাক, তার সব কথা শুনার পর রাজা আশে পাশের চোদ্দ গ্রামে ঢাক, ঢোল, পিটিয়ে এ খবর এলাকার সবাই কে জানিয়ে দিল। রাক্ষস কে মেরে ফেলা হয়েছে, এ খবর শুনে লোকজন তো মহা খুশি। রাজার বাড়িতে মহা ভোজের আয়োজন। বনে থাকা পশু পাখিরাও মনের আনন্দে গান গাইতে থাকে সবাই মিলে সুখ আর শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।
সুত্র:এফএনএস ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট : অবিশ্বাস্য—সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিটি ম্যাচ শেষে এই শব্দটি যেন ঘুরেফিরে বারবার লিখতে হচ্ছে। ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী
ডেস্ক রিপোর্ট : ‘আজ কি রাত মজা হুসনো কি’, ‘স্ত্রী-২’ সিনেমার গানের সঙ্গে নতুন এক তামান্না ভাটিয়াকে আবিষ্কার করেছিলেন সিনেজগতের
ডেস্ক রিপোর্ট : সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বা শিক্ষার মানোন্নয়নে শাসকশ্রেণির কোনো ভূমিকা দেখছেন না অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
ডেস্ক রিপোর্ট : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪” ও “জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪ “ উদ্যাপন করা হয়।
ডেস্ক রিপোর্ট : বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত সিরিয়ায় পাঁচ শতাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান
ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ ব্যক্তিজীবন নিয়ে সবসময় আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি প্রেমিক বেনির সঙ্গে বাগদানের খবর
ডেস্ক রিপোর্ট : ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক অর্জন সঙ্গী হয়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট : লেখালেখি একটি আর্ট, একটি নান্দনিক শিল্প। কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে লেখনীর গুরুত্ব অপরিসীম। লিখতে হয় কলম দিয়ে।